তিন সেশন ব্যাটিং করে চারশ’ করা সম্ভব। দ্বিতীয় দিন সংবাদ সম্মেলনে হাসান মাহমুদের মন্তব্য ‘আকাশ-কুসুম’ মনে হয়েছিল। কিন্তু মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলীর ব্যাটিং দৃঢ়তা প্রমাণ করেছে কাজটা একেবার অসম্ভব ছিল না। মাহমুদুল জয় ও মুশফিকের জুটি দীর্ঘ হলে দুইশ’ রানের লিড নেওয়া সম্ভব ছিল। সেটা না হলেও মিরাজের ব্যাটিং দৃঢ়তা ও ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব মিরপুর টেস্টে হার এড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বুধবার টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান করেছে। প্রোটিয়াদের লিড শোধ করে বাংলাদেশ ৮১ রানের লিড নিয়েছে। বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটানোয় খেলা প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে ৫ ওভার খেলা হতেই আলো স্বল্পতার দিনের খেলা বন্ধ থাকে। পরে স্টাম্প ঘোষণা করা হয়। এদিন প্রায় ৪০ ওভার খেলানো সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে- বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে। যা বাংলাদেশকে দিচ্ছে টেস্ট বাঁচানোর আশা।
বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল। কিন্তু সকালেই ফিরে যান ওপেনার মাহমুদুল জয় ও মুশফিকুর রহিম। তারা যথাক্রমে ৪০ ও ৩৩ রান যোগ করেন। পরে লিটন ৭ করে সাজঘরে ফেরেন। সকালে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
লোয়ার অর্ডারে মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলী ১৩৮ রানের জুটি গড়ে ওই শঙ্কা কাটান। দু’জন দলকে লিড এনে দেন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা জাকের ৫৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। পরে মিরাজ ১৭১ বল খেলে নয়টি চার ও এক ছক্কায় ৮৭ রান করেছেন। নাঈম হাসান সঙ্গ দিয়ে ১৬ রান তুলেছেন। আবহাওয়া ভালো গেলে চতুর্থ দিন ব্যাটিং শুরু করবেন তারা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান করে বাংলাদেশ। ওপেনার জয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। জবাবে ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান তোলে। ২০২ রানের লিড নেয়। উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরায়েনে ও পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার ১১৯ রানের জুটি গড়েন। মুলদার ৫৪ রান করে ফিরলেও ভেরায়েনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংস ১১৪ রানে নিয়ে থামেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। প্রথম দিন প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটের ৫টিই নেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পেসার হাসান নেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসু রাবাদা ও মুলদার ৩টি করে উইকেট নেন। স্পিনার কেশব মহারাজ নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা নিয়েছেন ৪ উইকেট। মহারাজ ৩ উইকেট দখল করেছেন।