খারাপ সময় গেলে দল থেকে বাদ পড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরাও প্রক্রিয়ার অংশ। সেজন্য দরকার পর্যাপ্ত অনুশীলন এবং সুযোগ সুবিধা। কিন্তু মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই দেশের ক্রিকেটে।
বছরে দু-তিনবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চট্টগ্রাম ও সিলেটে যাওয়ার সুবাদে সেখানে মোটামুটি মানের আধুনিক অনুশীলন সুবিধা-সুবিধা রয়েছে। যেটা প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে চান জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাব্বির রহমান। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে এসে বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মিরপুরে সব সময় জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকে। যে কারণে অনুশীলনের জন্য বুকিং পান না তিনি। পেলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
সাব্বির বলেন, ‘মিরপুরে (নিজের মতো) অনুশীলন করা অসম্ভব। কারণ এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকে। এখানকার সুবিধা সব বিভাগে থাকলে যারা দলের বাইরে থাকবে তারা ব্যবহার করতে পারবে। অনুশীলনে মেশিন বা স্ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে। আমি নিজ খরচে কিনেছি। এই পরিকল্পনা সব বিভাগের জন্য করা উচিত। মিরপুরে অনেক বুকিং থাকে। এখানে সারাদিন অনুশীলনের সুযোগ হবে না। এক-আধঘণ্টার অনুশীলনে হয়ও না। এই সেট-আপ যেন সব বিভাগে হয়।’
বিপিএলের গত আসরে খেলার সুযোগ পাননি সাব্বির রহমান। এবারের আসরকে কামব্যাকের সুযোগ মনে করছেন তিনি। এখনো জাতীয় দলে ফেরার বয়স আছে বলেও মনে করেন ৩৩ বছরের সাব্বির, ‘গত বিপিএলে সুযোগ পাইনি, এবার পেয়েছি। আমার জন্য কামব্যাক করার সুযোগ। লঙ্কান টি-১০ লিগে খেলেছি, আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আশা করি নার্ভাস হবো না। শুরুতে দুই-একটা ভালো রান পেলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। দলেরে দায়িত্ব অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’
এবারের বিপিএলে স্থানীয় ও বিদেশি মিলিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ভালো দল মনে করছেন সাব্বির রহমান। দলটিতে মুস্তাফিজ, তানজিদ তামিম আছেন। পাকিস্তানের সাইম আইয়ূব, শাহনেওয়াজ ধানি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লসদের নিয়ে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে ভালো করার কথা জানান সাব্বির, ‘স্থানীয় ও বিদেশি মিলিয়ে দল ভালো হয়েছে। স্থানীয়রা চেষ্টা করবো বিদেশিদের সাহায্য না নেওয়ার। দল ও কোচের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।’