চুলের বৃদ্ধিতে নারকেল তেলের গুরুত্ব অনেক। এ তেলে রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন ই ও আয়রন। নারকেল তেল স্ক্যাল্প ও চুলে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে। অনেক উপকার থাকা সত্ত্বেও অনেকে নারকেল তেল ব্যবহার করে সুফল পান না। কেননা তারা তেল মালিশের সঠিক নিয়ম জানেন না। রূপবিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকার পেতে সঠিক নিয়ম মেনে নারকেল তেল মালিশ করতে হবে।
মাথায় তেল মালিশের সঠিক নিয়ম
- চুলের জন্য সব সময় হালকা বা কম ঘনত্ব-যুক্ত তেল বেছে নিতে হবে। নতুন চুল গজানোর জন্য জবা, রোজ়মেরি, ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল মাখা যেতে পারে।
- এসেনশিয়াল অয়েল চুলের জন্য ভালো। নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি, ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস বা লেমনগ্রাস, এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিলে উপকার মিলবে।
- মাথায় মালিশের মিনিট দশেক আগে তেল হালকা গরম করে নিন। তার পর কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। তবে খুব গরম তেল মাথায় মাখা যাবে না।
- তেল মালিশের পর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, চুলে যেন কোনো জট না থাকে। অল্প অল্প করে চুল ভাগ করে সিঁথি কেটে রাখতে পারেন। এতে তেল মাখতে সুবিধা হবে। মাথার ত্বকে সর্বত্র সমান ভাবে তেল পৌঁছবে।
- আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা হাতে তেল মেখে, মিনিট পনেরো মালিশ করতে পারেন। খুব বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না। গরম পানিতে তোয়ালে ডুবিয়ে ভালো করে নিংড়ে কিছুক্ষণ মাথায় জড়িয়ে রাখুন।
- মিনিট দশেক পর তোয়ালে খুলে ফেলুন। চাইলে তেল দিয়ে সারা রাত রেখে দিতে পারেন। নয়তো আধা ঘণ্টা পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
- তেল দেওয়ার পর অনেকে টেনে চুল বেঁধে রাখেন। এটি চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই খুব আঁটসাঁট করে চুল না বাঁধাই ভালো।