মাঘের বৃষ্টিতে জয়পুরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার আলু ও সরিষা চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত তিনটা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত তিনটা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় জেলার আলু ও সরিষার জমিতে পানি জমেছে। কৃষকরা কিছু কিছু জমি থেকে আগাম জাতের আলু তুললেও বেশি ভাগই এখনও উঠানো হয়নি। জমিতে পানি জমে থাকায় তারা হতাশায় ভুগছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কালাই উপজেলার আলু চাষিরা বলে জানা গেছে। যা কৃষকরা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন।
কালাই উপজেলা আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের একডালা গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী মন্ডল বলেন, আলু-সরিষার জমিতে পানি জমেছে। আলুর জমিতে পানি জমে থাকলে পচন ধরবে। এতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হবে। আলুর দাম আরও কমতে পারে।
কালাই উপজেলা আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের সুড়াইল গ্রামের আলু চাষি কামরুল ইসলাম বলেন, আমি ৫ বিঘা আলু চাষ করেছি সবই পানিতে তলিয়ে গেছে আলুতে যা খরচ করেছি তার অর্ধেক টাকার আলু বিক্রি করতে পারবো না।
সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের আলু চাষি আবদুল খালেক বলেন, নেই বাজারে আলু দাম। ইতোমধ্যে ১ বিঘা জমির আলু বিক্রি করে প্রায় ৩ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। এখন বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরলে তাঁকে পথে বসতে হবে।
আর কয়েকজন সরিষা চাষিরা বলেন, হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মাঠের সরিষা খেত হেলে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি জমে হেলে পড়া সরিষা খেত ডুবে গেছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা চাষিদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর জেলার ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বৃষ্টিতে আলুর ফসলের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আর বৃষ্টি না হলে তেমন ফসলের ক্ষতি হবে না। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখন নির্ধারণ করা হয়নি। তা আগামীকাল জানা যাবে।
পিএসএন/এমঅাই