সংযুক্ত আরব আমিরাত মহাকাশচারী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য একজন নারীকে নির্বাচিত করেছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো আরব নারীকে এমন অভিযানের জন্য নির্বাচিত করা হলো। খবর রয়টার্সের।
আমিরাতি নাগরিক নোরা আল-মাতরুশির বয়স ২৭ বছর। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষে বর্তমানে আবু ধাবির জাতীয় পেট্রোলিয়াম নির্মান কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। তিনি নাসার ২০২১ সালের ‘অ্যাস্ট্রোনট ক্যান্ডিডেট’ ক্লাসে অংশগ্রহণ করবেন।
মাতরুশির যোগ দেবেন আরেক আমিরাতি নাগরিক মোহাম্মাদ আল-মুল্লা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশচারী প্রকল্পে মোট চারজন থাকবেন। এতে হাজা আল-মানসুরিও রয়েছেন যিনি প্রথম আমিরাতি হিসেবে ২০১৯ সালে মহাকাশ ভ্রমণে যান এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান।
দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রশিদ মহাকাশ কেন্দ্র (এমবিআরএসসি) জানিয়েছে, বৈজ্ঞানিক দক্ষতা, শিক্ষা ও ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা এবং তারপর শারীরিক, মানসিক এবং স্বাস্থ্যগত মূল্যায়ন করা ৪ হাজার ৩শ আবেদনকারীদের মধ্যে নোরা ছিলেন একজন।
বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে ও তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের মহাকাশ কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে আমিরাতের একটি মহাকাশযান মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছায়। এটি আরব বিশ্বের কোনো দেশের সৌরজগতে চালানো প্রথম অভিযান। ২০২৪ সালে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, এমনকি ২১১৭ সালে মঙ্গলে বসতি স্থাপনের লক্ষ্যও রয়েছে দেশটির।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৭ সালে একটি জাতীয় মহাকাশ প্রকল্প চালু করে। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি। মহাকাশে অভিযান পরিচালনাকারী বড় দেশগুলোর তুলনায় আমিরাতে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি দক্ষতার অভাব রয়েছে।