ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশ মন্টিনিগ্রোর একটি ছোট শহরে এক ব্যক্তির গুলিতে ১২ জন নিহত হয়েছেন। পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই বন্দুকধারীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এটি ইউরোপের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ক্ষুদ্র দেশটিতে ঘটা সবচেয়ে নৃশংস নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর একটি।বন্দুকধারীর নাম আলেকজান্দার আচো মার্টিনোভিচ এবং তার বয়স ৪৫ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ।সরকারি আইন কর্মকর্তা আন্দ্রিয়ানা নাস্তিক জানান, বুধবার স্থানীয় সময় বিকালে সেতিঁয়ে শহরের এক রেস্তোরাঁয় বচসার জেরে মার্টিনোভিচ প্রথমে গুলি করে চারজনকে হত্যা করেন। এরপর তিনি অন্য তিনটি স্থানে গিয়ে দু’টি শিশুসহ আরও আটজনকে গুলি করে মারেন।
মন্টিনিগ্রোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দানিলো সারানোভিচ জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সেতিঁয়ে শহরে নিজ বাড়ির কাছে পুলিশ কর্মকর্তারা মার্টিনোভিচকে ঘেরাও করে ফেলার পর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটিসিজিকে সারানোভিচ বলেন, “যখন তিনি দেখেন পুলিশের হাতে ধরা পড়া ছাড়া তার আর কোনো পথ নেই তখন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়নি, হয়েছে হাসপাতালে নেওয়ার পথে।”
মন্টিনিগ্রোর রাজধানী পোদগোরিচার ৩৮ কিলোমিটার পশ্চিমের এ শহরটিতে এই নিয়ে তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলো। ২০২২ সালে গুলি করে হত্যা করার আগ পর্যন্ত এক বন্দুকধারীর গুলিতে দু’টি শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মার্টিনোভিচ অতিরিক্ত মদ্যপান করতো আর অবৈধ অস্ত্র রাখার ইতিহাস ছিল তার। ওই রেস্তোরাঁর ক্রেতাদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পর সে বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে আসে, তারপর গুলি করা শুরু করে।
পোদগোরিচার ক্লিনিক্যাল সেন্টারের পরিচালক আলেকজান্দার রাদোভিচ জানিয়েছেন, বুধবারের ওই ঘটনায় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তাদের জীবন হুমকির মুখে আর তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
পুলিশ জানিয়েছে, এই গুলিবর্ষণের ঘটনা কোনো সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মন্টিনিগ্রোতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।