ঈদের পর প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘আজব কারখানা’। ‘তুফান’র তাণ্ডবের পর একটু প্রশান্তি দেবে সিনেমাটি। গ্রামীণ পরিবেশে শুধু গানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। এক কথায় মনের খোরাক জোগাবে এটি এমনটা দাবি করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জির সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেয়া দেশের সুপার মডেল ইমি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) থেকে দেশের পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছে ছবিটি। শবনম ফেরদৌসী পরিচালিত এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল-অভিনেত্রী শাবনাজ সাদিয়া ইমি এবং ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জি।
একজন রকস্টারের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মাণ হয়েছে ‘আজব কারখানা’র গল্প। সেই রকস্টার নিজের জীবনের নতুন অর্থ খুঁজতে গ্রামবাংলার বাউল শিল্পীদের সংস্পর্শ নেন। সেখানে বাউল শিল্পীদের মাধ্যমে আবহমান বাংলার বিভিন্ন গানের ধারা, ঘরানা ও মর্মবাণী ছবির গল্পে তুলা ধরা হয়। এতে উঠে আসে শিল্পীর জীবন-সংগ্রামের কথা।
সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে এসে সময় সংবাদের সঙ্গে কথা বলেন শাবনাজ সাদিয়া ইমি। তিনি বলেন, ‘আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই শবনম ফেরদৌসী আপা ও সামিয়া আপাকে। সিনেমাটিতে আমি আমার পুরোটা এফোর্ট দেয়ার চেষ্টা করেছি। এটি এমন একটি সিনেমা যেটি কলকাতার সুপারস্টার পরমব্রতের ক্যারিয়ারেও এটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছে।’
পরমব্রত চ্যাটার্জির সঙ্গে কাজ করা নিয়ে ইমি বলেন, ‘শুরুতে খুবই নার্ভাস লাগছিল। এতো বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করবো একটু সাহসের দরকারতো আছেই। এখন অবশ্য নার্ভাস নয় এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে। কারণ সবার সঙ্গে এক কাতারে বসে সিনেমাটি দেখা অন্যরকম ফিলিংস।’
সিনেমাটি দেখা নিয়ে তিনি বললেন, ‘এটি আসলে সবারই দেখা উচিত কারণ এমন ছবি বার বার হয় না। মনে প্রশান্তি দেয়ার মতো একটি সিনেমা। যারা গানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিংবা সংশ্লিষ্ট নয় সবারই দেখলে ভালো লাগবে। অনেক অজানা তথ্য আবিষ্কার করা যাবে এই সিনেমায়।’
এখন বাংলা সিনেমার বাতাস বইছে। সবাইকে হলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইমি।
এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বড়পর্দায় অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশর শীর্ষ র্যাম্প মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমির। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেধাবী অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল। আরও দেখা যাবে বাংলার লোকগানের একাধিক গুণী শিল্পীকে।
অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাহমিদা নবী, আসিফ ইকবালের মতো তারকারাও। সামিয়া জামান প্রযোজিত সিনেমাটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিল। বিশ্বের ১৫টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে ছবিটি। পাঁচটি পুরস্কারও জিতেছে।