যশোরের মণিরামপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মঙ্গলী ওরফে পলি (৩৫) নামের এক হিজড়াকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবু হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
গত শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের মাছনা মহলপাড়া থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মঙ্গলী ওরফে পলি (৩৩) মাছনা গাজীপাড়া গ্রামের মৃত খালেক গাজীর সন্তান। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বাবু হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে আটক করে ডিবি পুলিশ।
শনিবার (২৯) সন্ধ্যায় পৌর এলাকার কামালপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন।
সূত্র জানায়, আটক বাবুর সাথে অনেক দিন ধরেই মঙ্গলির কথিত প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ঘটনার দিন বিকেল হতেই বাবুকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে বাড়িতে ডাকে তৃতীয় লিঙ্গের মঙ্গলি।
রাত ৯টার দিকে বাবু মঙ্গলির বাড়িতে একান্তে সময় পার করে। এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে বাবু বাড়ি ফিরতে চাইলে মঙ্গলি বাধা দেয়। এ সময় বাবুকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে মঙ্গলি। বাবু রাজি না হওয়ায় চুরির অভিযোগে দিয়ে পুলিশের দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ওই বাড়িতে থাকা দা দিয়ে মঙ্গলির গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ১০/১২টি কোপ দেয় বাবু।
মৃত্যু নিশ্চিত করে বাবু, মঙ্গলির গহনা ও নগদ ২২শ’ টাকা নিয়ে বাড়ির ছাদ উঠে প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে দিনভর মঙ্গলির সাড়া-শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে বাড়ির সিড়ি ঘর থেকে মঙ্গলির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তবে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বাবু নামের ওই ব্যক্তিকে আটকের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, হিজড়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের আটকের ব্যপারে অভিযান চলছে।