বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষকে ভ্রমণ করতে হয়। যানবাহনে আরোহণ, পথচলা, যাত্রাবিরতি ইত্যাদি অবস্থায় কষ্ট ও ভোগান্তি ভ্রমণের অনিবার্য অংশ। আল্লাহর রাসুল (সা.) ভ্রমণে সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য কিছু দোয়া শিখিয়েছেন।
বাহনে চড়ার পর মহানবী (সা.) দোয়া পড়তেন- ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।’
অর্থাৎ আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও অশেষ করুণাময়। তিনি পবিত্র ওই সত্তা, যিনি বাহনকে আমার অধীন করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্তে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।
ভ্রমণে রাসুল (সা.) আরেকটি দোয়া পড়তেন- ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফরিনা হাজাল বিররা ওয়াত তাকওয়া, ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা, আল্লাহুম্মা হাউয়িন আলাইনা সাফারনা হাজা, ওয়াতওই আন্না বুদাহু, আল্লাহুম্মা আনতাস সাহিবু ফিসসাফার, ওয়াল খালিফাতু ফিল আহলি ওয়াল মাল। আল্লাহুম্মা ইন্না নাউজুবিকা মিন ওয়াসাইস সাফারি ওয়া কাআবাতিল মানজারি, ওয়া সুইল মুনকালাবি ফিল আহলি ওয়াল মাল।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের জন্য আমাদের এ সফর সহজ করে দাও। রাস্তার দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সফরের সঙ্গী এবং আমাদের পরিবারের কাছে তুমি আমাদের স্থলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ! তোমার কাছে সফরের কষ্ট-ক্লান্তি ও ভয়ানক দৃশ্য দেখা থেকে এবং পরিবার, সম্পদ-বিত্ত ও অধীনস্থদের কাছে খারাপ অবস্থায় ফেরত আসা থেকে তোমার কাছে রক্ষা চাই। (মুসলিম : ৯৭৮/২)
নৌকা বা জাহাজ ইত্যাদিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই দোয়া পড়া- ‘বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসাহা, ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রহিম।’ অর্থাৎ তোমরা এতে আরোহণ করো। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ণ, মেহেরবান। (সুরা হুদ : ৪১)
ভ্রমণের মাঝপথে কোথাও অবস্থান করতে হলে এ দোয়া পড়ার নির্দেশ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, এই দোয়াটি পড়লে, ঘরে ফেরা পর্যন্ত কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না- ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।’ অর্থাৎ আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমার মাধ্যমে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা চাচ্ছি। (মুসলিম : ২৭০৮)। (হিসনে হাসিন, মকবুল দোয়া)
পি এস/এন আই