করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের বাধ্যতামূলক পাসপোর্ট চালু করা হবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। নাগরিকদের গোপনীয়তা ও অধিকার রক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, এমন কোনো নিয়ম তারা চালু করেনি বা করবে না যার ফলে আমেরিকানদের একটি সার্টিফিকেট বহন করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ‘কেন্দ্রীয় ভ্যাকসিনেশন ডাটাবেজ’ অথবা ‘কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যেকের জন্য কোনো ভ্যাকসিন নথি বহনের বাধ্যবাধ্যকতা’ থাকবে না’।
তিনি বলেন, ‘সরকার এখন অথবা ভবিষ্যতে এমন কোনো নিয়ম সমর্থন করবে না যেখানে আমেরিকানদের একটি সার্টিফিকেট বহন করতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের উদ্দেশ্য খুবই সাধারণ, আর তা হলো আমেরিকানদের গোপনীয়তা ও অধিকার রক্ষা করতে হবে, এজন্য অন্যাভাবে জনগণের ওপর এ ধরণের নিয়ম ব্যবহার করা হবে না।’
মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনেক দেশই কথিত ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর চিন্তা করছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এ ধরণের কাজ বৈষম্যমূলক হবে।
যুক্তরাজ্যে কনসার্ট বা খেলার ম্যাচে ‘কোভিড স্ট্যাটাস সার্টিফিকেশন’ নামে এক বিশেষ নিয়ম চালু করা হচ্ছে। এর আওয়তায় থাকবে কোনো ব্যক্তি ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা, সম্প্রতি পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ ফলাফল এসেছে কিনা অথবা ইতোম্যধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন কিনা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের জন্য কাজ করছে। ইসরায়েলে ইতোমধ্যেই ‘সবুজ পাস’ চালু করা হয়েছে। কেউ দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলে অথবা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে থাকলে তাদেরকে হোটেল, জিম বা থিয়েটারে প্রবেশের সময় এই পাস দেখাতে হবে। এই পাস যাদের নেই তারা এসব জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নিলে সংক্রমণ কমে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যে তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় তারা এ মুহূর্তে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি সমর্থন করছে না।