মহামারি করোনা পুরো বিশ্ববাসীকে গত একটা বছরে একটা দিনের জন্যও স্বত্বি দিচ্ছে না। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা সঙ্গে মৃত্যুও।এই অবস্থায় অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন মাহামারি রোগটিতে। এবার অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে টিকা নিয়ে কী হবে?
ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর সোশাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল হেলথ সায়েন্টিস্ট, শামীম আহমেদ বলেন, মহামারি থেকে বাঁচতে ভ্যাক্সিন নিতেই হবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাক্সিনকে সবচেয়ে নিরাপদ ধরা হচ্ছে। এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন করোনাক্রান্ত মানুষকে মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি থেকে বেশ সফলভাবে বাঁচাতে পারলেও এর কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যার জন্য অনেক দেশেই এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তবে উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন ছাড়া গত্যন্তর নেই। এজন্য এটিই নিতে হবে।
করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে, এই মুহূর্তে মহামারি থেকে নিজেদের নিরাপদে রাখতে যা করতেই হবে:
• ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড যেটা পাওয়া যাবে সুযোগ পেলেই ভ্যাক্সিন নিয়ে নিন। কারণ তিনটি ভ্যাক্সিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে কার্যকর
• দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। করোনাভাইরাস মূলত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় সুতরাং যতটা পারা যায় মানুষের সান্নিধ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। দূরত্ব না থাকলে যেকোনো জায়গায়ই ঝুঁকিপূর্ণ
• মাস্ক পরা। দূরত্ব বজায় না থাকলেও যদি মাস্ক পরা থাকে, তবে কিছুটা প্রতিরোধ হয়। নিজে মাস্ক পরুন, অন্যকেও মাস্ক পরতে উৎসাহিত করুন
• কিছু স্পর্শ করলে হাত ধুয়ে নিন। হাত না ধুয়ে চোখে-মুখে হাত দেবেন না
• যেখানে বারবার হাত ধুতে পাবরেন না, সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।