আ’লীগের কার্যনির্বাহীর সংসদের সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কর্মী ও জনতা নির্ভর রাজনৈতিক দল। প্রাচীনতম দল হিসেবে কর্মী ও জনতার সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ আজ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছে। জনতার এই সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের ভোট চাইবেন। যে যার ভোট চাইবেন, কিন্তু কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। দলের প্রতি আনুগত্য রেখে মেয়রের নৌকা প্রতীকসহ যার যার প্রতীকে ভোট চাইবেন। কেউ কাদা ছোড়াছুড়ি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিক্ষণে সব ওয়ার্ডে কঠিনভাবে নজরদারী রাখতে হবে। একই সাথে ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে আনার সকল তৎপরতা চালাতে হবে। ভোটকে উৎসবে পরিণত করতে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।
সোমবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানার পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মো. আশরাফুল ইসলাম, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. শেখ আনিছুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম রেজওয়ান, আলী আজগর মিন্টু, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম বাশার, তসলিম আহমেদ আশা, শহিদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর গাউসুল আজম, কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, এস এম আকিল উদ্দিন।
সভার শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. চিশতী সোহরাব হোসেন, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান জিন্নাহ মাষ্টার, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বন্দের বড় ভাই আমির আলী বন্দ, শেখ আব্দুল হান্নান এবং সাবেক সংসদ সদস্য চিত্র নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক, সমবেদনা ও মরহুমদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এবং তাদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র কমিটির আহ্বায়ক কাজি আমিনুল হক এবং সদস্য সচিব এম ডি এ বাবুল রানাসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও ২জন সমন্বয়কের অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী হলে নির্বাচনকালীন সময়ে তদস্থলে যথাক্রমে সহ-সভাপতি অথবা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওই দায়িত্ব পালন করবে। যেখানে একাধিক দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী সেখানে মেয়র নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আলাদা হবে। এবং যেখানে একক কাউন্সিলর প্রার্থী সেখানে মেয়র কমিটির সাথে একই কমিটি করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। তবে কেউ ২টি কমিটিতে অর্থাৎ মেয়র ও কাউন্সিলর কমিটিতে থাকতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটিতে শুন্য পদে শেখ দাউদ হায়দারকে কো-অপশন করা হয়।
সভায় ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক বাবুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় খুলনা চেম্বার অব কর্মাসে কাজি আমিনুল হক পূনরায় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কাজি আমিনুল হকসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।