গোটা বিশ্বে আর্থ অবজারবেশন বা ইও বা ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাজার বর্তমানে পাঁচশ কোটি ডলার থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে আটশ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে উঠে এসেছে নোভাস্পেস-এর নতুন এক প্রতিবেদনে।
ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাজারের এই দ্রুত বৃদ্ধির কারণ মূলত বড় ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, উচ্চ-রেজুলিউশন ইমেজিং ও থ্রিডি সক্ষমতা প্রযুক্তির চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া। এসব কারণ, ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির সুযোগ ও মান আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
বর্তমানে কৃষি থেকে শুরু করে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত সব ধরনের শিল্পখাতের জন্য জটিল সব তথ্য সরবরাহ করছে ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি।এটি মহাকাশ প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণের অন্যতম লাভজনক খাত বলেও প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এমএসএন।উত্তর আমেরিকার বাজারে অন্যতম প্রভাবশালী খেলোয়াড় হিসাবেও সুনাম রয়েছে ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির। কারণ, ২০২৩ সালে ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি বাজারের ৪৪ শতাংশ রয়েছে আমেরিকার দখলে।
এর পরেই রয়েছে ইউরোপের অবস্থান, যার ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাজারে দখল ২২ শতাংশ, বলেছে মহাকাশ প্রযুক্তি বিষয়ক পরামর্শক সংস্থা নোভাস্পেস।নোভাস্পেস-এর প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এ খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি আসবে এশিয়া থেকে।উদীয়মান ক্রয় নীতি, মহাকাশ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাড়তি চাহিদার কারণে ২০৩৩ সালের মধ্যে এই বাজারের ২৩ শতাংশ এশিয়ার দখলে থাকবে বলে অনুমান উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
তবে গত বছর ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি খাতে এশিয়া কত শতাংশ অবদান রেখেছে তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেনি নোভাস্পেস।গাছপালার বেড়ে ওঠা ও জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে দেশের সীমানা পর্যন্ত সবকিছু আরও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে প্রতিনিয়ত ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।কানাডা গত বছর বলেছিল, দাবানল ও অন্যান্য পরিবেশগত বিভিন্ন সংকট নজরে রাখতে ব্যবহৃত ডেটার আকার বাড়ানোর জন্য আগামী ১৫ বছরে স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করবে একশ এক কোটি কানাডিয়ান ডলার।
এ প্রতিবেদনের প্রধান লেখক অ্যালেক্সিস কন্তে বলেছেন, “ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাজারের এই বৃদ্ধি কেবল আকাশের বিভিন্ন ভূ-অবস্থান সিস্টেম বদল করার বিষয়ে নয়। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও কার্যকরী ধারণা সরবরাহের জন্য ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়েও।”