এক ভিয়েতনামি বাবা তার মেয়ের চেহারায় সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পান, যার সঙ্গে তার নিজের বা তার স্ত্রীর সঙ্গে মিল ছিল না। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি এক পর্যায়ে জানতে পারেন, তার মেয়ে আসলে তার জৈবিক সন্তান নয়। বিষয়টি একটি ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিতও হয়।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, এই সত্য উদঘাটনের পর ওই বাবা একটি হাসপাতালের ভুলের গল্পে জড়িয়ে পড়েন।বিষয়টি আরো প্রকাশ পায়, যখন তার মেয়ে ল্যান নতুন স্কুলে ভর্তি হয়ে একই দিনে জন্ম নেওয়া আরেকটি মেয়ের সঙ্গে দেখা করে।মূলত ল্যান যখন কিশোর বয়সে পা দেয় এবং তার সৌন্দর্যে ফুটে উঠতে থাকে, তখন তার বাবা খেয়াল করেন, মেয়ের চেহারা তার বা তার স্ত্রীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই সন্দেহ থেকেই তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়া যায়, ল্যান তার জৈবিক সন্তান নয়।
গণমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, এই সত্য প্রকাশের পর তিনি তার স্ত্রী ও মেয়ের থেকে দূরে সরে যান। প্রায়ই তিনি মাতাল হয়ে বাড়ি ফেরা শুরু করেন। এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার ফল নিয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেন। তবে তার স্ত্রী হং এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং একসময় তিনি তার মেয়েকে নিয়ে অন্য শহরে চলে যান।
ফলে ল্যানকে নতুন স্কুলে যেতে হয়। আর সেই স্কুলের কারণেই প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়।ল্যানের বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক নারী ল্যানের চেহারায় নিজের সঙ্গে বিস্ময়কর মিল খুঁজে পান এবং তিনি হাসপাতালে তার সন্তান বদলে যাওয়ার সন্দেহ করেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়, ল্যান ও তার বন্ধুকে জন্মের সময় বদলে দেওয়া হয়েছিল।বর্তমানে এই দুই পরিবার নিয়মিত একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে।
শিগগিরই মেয়েদের কাছে এই সত্য উন্মোচন করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।