সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে আচমকাই থমকে গিয়েছে গোটা সুরের দুনিয়া। চারিদিকে এক নিশ্চিত নিস্তব্ধতা আর স্বজন হারানোর হাহাকার। ৯২ বছর বয়সে বিদায় নিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। ২৮ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে অবশেষে হার মানলেন মৃত্যুর কাছে।
১৯২৯ সালে মধ্যপ্রদেশের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম লতা মঙ্গেশকরে। ছোট থেকেই সংগীতের পরিবেশে বেড়ে ওঠা, তবে হিন্দি ছবির গান শুনতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকরের সবচেয়ে বড় সন্তান লতা, কৈশরে পা দিয়েই বাবা-কে হারান গায়িকা। ভাই-বোনেদের দায়িত্ব অভিভাবকের মতো পালন করেছিলেন ছোট্ট লতা।
বিয়ে করেননি লতা। লতার বিয়ে না করা নিয়ে আছে নানা ধরনের গুঞ্জন। ওড়িশা পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, লতা প্রেমে পড়েছিলেন একবার। তার বড় ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের খুব কাছের বন্ধু মাহারাজা রাজ সিংয়ের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি।
জানা যায়, একবার লতার বাড়িতে চায়ের দাওয়াতে গিয়েছিলেন মহারাজ। সেখানেই প্রথম লতার সাথে তার পরিচয় হয়। তারপর গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। রাজ লতাকে ভালোবেসে ‘মিঠু’ বলে ডাকতেন। মহারাজ সবসময় তার পকেটে একটা রেকর্ড প্লেয়ার রাখতেন যেখানে সবসময় লতার গাওয়া গানগুলো বাজতো।
রাজ তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। লতাকে বিয়ে করে সংসার পাততে চেয়েছিলেন রাজ। কিন্তু তাদের বিয়েতে বাধ সাধেন রাজের পরিবার। তারা বলেন, কোনো সাধারণ মেয়েকে তারা তাদের পরিবারের পুত্রবধূ করবে না। আবার রাজ লতাকে বলেন, তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না। বাবা- মা মেনে না নেয়ায় রাজও থেকে গিয়েছিলেন অবিবাহিত।
অন্যদিকে লতা বলতেন, তিনি কখনো বিয়ে করবেন না। নিজের পরিবারের প্রতি তার অনেক দায়িত্ব আছে। তিনি তার পরিবারকে নিয়েই গোটা জীবন কাটাতে চান। তবে ধারণা করা হয়, তাদের দু’জনের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই তারা কেউ কখনো অন্যকে বিয়ে করেনি।
পিএসএন/এমঅাই