গত মঙ্গলবার থেকেই ভারতের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখের নিচে। সেই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩২ জন। দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হারও।
বৃহস্পতিবার ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৯.৫৯ শতাংশ। শুক্রবার তা কমে হয় ১৫.৮৮ শতাংশ। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) তা আরও কমে হলো ১৩.৩৯ শতাংশ। দেশজুড়ে সুস্থতার হারও সামান্য বেড়েছে। বর্তমানে ভারতে সুস্থতার হার ৯৩.৮৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কারণে দেশে মোট ৮৭১ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা আছে। তবে কেরালায় আগের ২৫৮ জন মৃতের নাম এই তালিকায় যোগ হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাতে এই বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৬১৩ জন। শুক্রবার নতুন করে ৮৭১ জন মৃতের তালিকা প্রকাশ হওয়ায় ভারতে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ লাখ ৯৩ হাজার ১৯৮ জনে।
বিশ্বের সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্তের দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে ভারত। ভারতে এ পর্যন্ত মোট ৪ কোটি আট লাখ ৫৮ হাজার ২৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মোট আক্রান্তের ৪.৯১ শতাংশ। মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৪ হাজার ৩৩৩ জন।
এদিকে ভারতে এ পর্যন্ত মোট ১৬৫ কোটি ৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৬০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় টিকা দেওয়া হয়েছে ৫৬ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৬ ডোজ।
ভারতে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি জোরালোভাবে চলছে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও। এরই মধ্যে, শুক্রবার মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে কোভ্যাক্সিন টিকা প্রস্তুতকারক ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের নাকের মাধ্যমে নেওয়া বুস্টার টিকা। তবে কোভ্যাক্সিনের দুটি টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের ওপরই করা যাবে এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা।
ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) শুক্রবার এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের ৯টি জায়গায় এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানো হবে। ভারত বায়োটেক এই টিকার নাম দিয়েছে বিবিভি১৫৪।
হায়দরাবাদ ভিত্তিক টিকা প্রস্তুতকারক এই সংস্থা গত মাসেই নাকের মাধ্যমে নেওয়া টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানোর জন্য ডিসিজিআই এর অনুমোদন চেয়েছিল।