ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক সম্প্রতি ভারতের চারটি রাজ্যে মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আতঙ্কের কয়েক সপ্তাহ পরে এখন আবার হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাকে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
হোয়াইট ফাঙ্গাস কী?
হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক বেশি বিপজ্জনক। কারণ এটি ফুসফুসের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে এবং মস্তিষ্ক, শ্বসনতন্ত্র, পাচনতন্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী?
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকও হলো শ্লেষ্মাজাতীয় সংক্রমণ। কালো ছত্রাক মুখ, নাক, চোখের কক্ষপথ এমনকি মস্তিষ্ককেও প্রভাব ফেলতে পারে। কালো ছত্রাক শরীরে প্রবেশ করলে দৃষ্টিশক্তি কমায়। হোয়াইট ফাঙ্গাসের মতো এটিও ফুসফুসে ছড়িয়ে যেতে পারে।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, দিল্লির (এআইআইএমএসএইমস) পরিচালক রণদীপ গুলেরিয়ার জানান, স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ গ্রহণের ফলে ব্ল্যাক বা হোয়াইট দুই ছত্রাকের আক্রমণই হতে পারে।
হোয়াইট ফাঙ্গাসের ঝুঁকিতে কারা?
হোয়াইট ফাঙ্গাস এমন ব্যক্তিদের আক্রমণ করে; যারা ইমিউনোকম্প্রেসড, অর্থাৎ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম আছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই ছত্রাক সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগটি সংক্রামক নয়, তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষদেরকে বেশি আক্রমণ করে।
অনেকটা করোনাভাইরাসের মতোই হোয়াইট ফাঙ্গাসের জীবাণুও ছড়িয়ে যেতে পারে। যেমন- আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস নেওয়া বা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ছত্রাকের জীবাণু। এমনকি ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি যারা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড গ্রহণ করছেন; তাদের হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকিতে কারা?
ডায়াবেটিস রোগী, কোভিড রোগী এবং দীর্ঘদিন স্টেরয়েড গ্রহণ করেন এমন ব্যক্তিদের বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। এমনকি দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকলেও কালো ছত্রাকের ঝুঁকি বাড়ে।
হোয়াইট ফাঙ্গাসের লক্ষণ
হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাকের লক্ষণগুলো অনেকটা করোনা উপসর্গের মতোই। ফুসফুসে প্রদাহ, বুকে ব্যথা, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এমনকি ফুলতেও পারে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ
সমীক্ষা দেখা গেছে, করোনা রোগীরাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। কালো ছত্রাক সংক্রমণের ফলে নাকের রং বদলে যাওয়া, চোখে কম দেখা, মুখের একপাশে ব্যথা, দাঁত ব্যথা, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
গুরুতর অবস্থায় কাশির সঙ্গে রক্তও বের হতে পারে। সময় মতো হাসপাতালে না নিলে রোগী এই সংক্রমণে মারাও যেতে পারেন