মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান বেশ কার্যকর।
সারারাত ব্যাক্টেরিয়ার বিস্তারের কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর সবারই মুখে গন্ধ হয়। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে কিছু মানুষের সারা দিনই মুখে দুর্গন্ধ থাকে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘হ্যালেটোসিস’। এই শারীরিক সমস্যা হওয়ার কারণ হল, খাবারের শর্করার সঙ্গে মুখে থাকা ব্যাক্টেরিয়ার বিক্রিয়ার থেকে যে গ্যাসের সৃষ্টি।
এছাড়াও দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির অসুখের লক্ষণও হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
তবে সাধারণ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ভালো কাজ করে। এরকমই প্রচলিত ও কার্যকর কয়েকটি উপাদান নিয়ে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
লবঙ্গ: রান্নাঘরে হাতের কাছে পাওয়া যায় লবঙ্গ। যা মাড়ির ব্যথা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
এর ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান মুখের ব্যাক্টেরিয়া, দাঁতের সমস্যা, রক্ত পড়া ইত্যাদি দূর করে।
কয়েক টুকরা লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবালে তা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে।
পানি: দিনে কম পানি পান করলে তা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। পানি পান মুখের ব্যাক্টেরিয়া পরিষ্কার করে ও নানান সমস্যা থেকে সুরক্ষিত রাখে। তাই মুখে দুর্গন্ধ অনুভূত হলে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
আর সতেজভাব আনতে চাইলে পানিতে লেবুর রসও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
মধু ও দারুচিনি: মধু ও দারুচিনি ব্যাক্টেরিয়া এবং প্রদাহ রোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি কমায় ও মাড়ি সুস্থ রাখে।
মধু ও দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাড়িতে ব্যবহার করলে তা রক্ত পড়া, দাঁতের ক্ষয় ও মুখের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়তা করে।
শুধু দারুচিনি: ঝাঁঝালো মিষ্টি স্বাদের দারুচিনি মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা কমাতে সহায়ক। লবঙ্গের মতো দারুচিনিতেও রয়েছে ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট করে।
মুখে ছোট এক টুকরা দারুচিনি নিয়ে তা কিছুক্ষণ চিবিয়ে ফেলে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
লবণ পানিতে কুলকুচা করা: কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলকুচা করলে তা মুখের খারাপ ব্যাক্টেরিয়া দূর করে এবং দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
লবণ পানি মুখে ব্যাক্টেরিয়ার বিস্তার কমাতে পারে। আধা চা-চামচ লবণ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে বাইরে যাওয়ার আগে কুলকুচা করে নিতে হবে।