নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে জোরপূর্বক জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বসুরহাট আরডি শপিংমলের মালিক নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর ওরফে হেলাল মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমাকে লোকজন দিয়ে ধরে এনে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জন্য ওবায়দুল কাদেরের নামে পৌনে ৫ শতাংশ জমি লিখে নেন আবদুল কাদের মির্জা। সেই জমি উদ্ধারে গত ১৫ আগস্ট নোয়াখালী আদালতে ওবায়দুল কাদের ও তার ছোটভাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
ব্যবসায়ীর জমি লিখে নিয়ে আ’লীগ কার্যালয়ে দান করেন ওবায়দুল কাদের
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা লোকজন দিয়ে আরডি শপিংমল দখলের চেষ্টা করেন। পরে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ বসুরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর ফারুক গংদের থেকে করালিয়া মৌজার সিএস ৯৮ ও ১৩২ নম্বর খতিয়ানের ৭১৪ ও ৭১৫ দাগে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ জমি মার্কেট মালিক হেলালকে পৌনে দুই কোটি টাকায় কিনতে বাধ্য করেন।
ওইদিনই হেলালকে জিম্মি করে টাকা পরিশোধ না করে জমিটি ওবায়দুল কাদেরের নামে সাফকবলা রেজিস্ট্রি করে নেন আবদুল কাদের মির্জা। পরে ওই বছরের ২০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জন্য উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবর জমিটি দান কবলা করেন ওবায়দুল কাদের।
ব্যবসায়ীর জমি লিখে নিয়ে আ’লীগ কার্যালয়ে দান করেন ওবায়দুল কাদের
পরে হেলালের আরও জমিসহ মোট সাত শতাংশ জমি দখল করে আরডি মার্কেটের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দোতলা ভবন নির্মাণ করেন আবদুল কাদের মির্জা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।