বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যালসহ বেসরকারি শিক্ষার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন সংসদ সদস্যরা। যে ভ্যাট চাপানো হয়েছে সেটা শিক্ষার্থীদের উপর এসে পড়বে বলে তারা মন্তব্য করেন।
সোমবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা এ সমালোচনা করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, শিক্ষাখাতের ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দের ৪ শতাংশই প্রযুক্তিখাতের। বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থায় ছুটিই বাড়ছে, লেখা-পড়ার বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে না। এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে ৫ লাখ ছেলে মেয়ের লেখাপড়া করাচ্ছে তাদের উপর ১৫ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে যা শেষ বিচারে শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে।
শিরীন আখতার বলেন, ভ্যাট নির্ভরশীলতাকে গরিববিরোধী প্রতিক্রিয়াশীলতা বৈষম্যমূলক রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া। বেসরকারি শিক্ষার ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রস্তাব জাসদ বিরোধিতা করছে।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত। বাজেটে ন্যক্কারজনকভাবে বেসরকারি শিক্ষার উপর ১৫ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে একজন শিক্ষার্থী বলেছেন অন্যদেশের সরকার শিক্ষায় ভর্তুকি দেয় আর আমরা করারোপ করি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৩ জুন তার বাজেট বক্তব্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৫ শতাংশ করারোপের কথা বলেন।
বাজেট প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রযোজ্য সাধারণ করহার হ্রাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ থেকে উদ্ভূত আয়ের ১৫ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছিল। সংসদে আমি এ করহার অর্থ আইনের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।