মধ্যপ্রাচ্য সংকটকে কেন্দ্র করে বিশ্ব বাজারে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালের দিকে তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। এর আগের সেশনে দাম বাড়ে এক শতাংশের বেশি।
সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা জাহাজের ওপর হামলা জোরদার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এতে সংকট আরও ঘনিভূত হয়েছে।
এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক এক শতাংশ বেড়ে ৭৯ দশমিক ২৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ১৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এরই মধ্যে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বহু দেশের সমন্বয়ে নতুন টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথিদের হামলা থেকে জাহাজগুলোকে রক্ষা করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লোহিত সাগরে হামলা অব্যাহত রাখার আঙ্গীকার করেছে হুথি। মার্কিন টাস্কফোর্সকে প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহী ঘোষ্ঠীটি।
এমন পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানিকারকরা লোহিত সাগরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। কারণ এই পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে শিপিং খরচ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। ব্যাহত হবে সরবারাহ ব্যবস্থা।
গাজা থেকে শত শত মাইল দূরে অবস্থিত সুয়েজ খাল। এই খালের মাধ্যমেই লোহিত সাগর দিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে জাহাজ চলাচল করে, যা দূরত্ব কমিয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে। কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে সুয়েজ খালে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েলগামী জাহাজ লক্ষ্য করে।
আফ্রিকা ও আরব পেনিনসুলাকে আলাদা করেছে বাবএলমান্দেব প্রণালী। যেখান দিয়ে বিশ্বের প্রায় ১২ শতাংশ বাণিজ্য ও ৩০ শতাংশ কন্টেইনার ট্রাফিক সম্পন্ন হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হুথির হামলার কারণে জাহাজ চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।