দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন দুই লাখ ৬২ হাজার ৪৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো তথ্য থেকে এসব জানা যায়। এছাড়া গতদিন রাজধানীসহ সারাদেশে ৫৪ হাজার ৮৬২ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর দেশে পরীক্ষামূলক বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে প্রথমে বুস্টার ডোজ নেন দেশে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণকারী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা ডি কস্টা। স্বাস্থ্য অধিদফতর বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা বেছে নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো তথ্য বলছে, ঢাকা মহানগরীতে ১৭ হাজার ৫৭৭ জনসহ ঢাকা বিভাগে ২৫ হাজার ৪১০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ হাজার ৯৫৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ হাজার ৮৮০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ হাজার ৬০৫ জন, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৬ হাজার ৭৭২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৬২৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ হাজার ৬০৮ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
বুস্টার ডোজের বয়স সীমা কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, বুস্টার ডোজের জন্য বয়স সীমা ৬০ বছর থেকে কমানোর কথা ভাবছেন তারা। ভবিষ্যতে টিকা গ্রহীতাদের সুবিধাজনক যেকোনো কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, এসএমএস না পেলেও যেকোনো বয়সের রোগীরা করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ নেয়ার আগে ওই রোগীকে তার অসুস্থতা বিষয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত নথি দেখাতে হবে। এছাড়া আমরা এরই মধ্যে সব টিকাকেন্দ্রকে নির্দেশনা দিয়েছি। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা আগে ২ ডোজ টিকা নিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
পিএসএন/এমঅাই