বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী হিসেবে গিনেস বুকে রেকর্ড গড়লেন তুরস্কের ২৪ বছর বয়সী রুমেইশা গেলগি। তার উচ্চতা ২১৫ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার বা সাত ফুট এবং শূন্য দশমিক সাত ইঞ্চি।
২০১৪ সালে রুমেইশার বয়স যখন ১৮, তখনও বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা মেয়ে হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম উঠে আসে।
জন্মের পর থেকেই ‘উইভার সিন্ড্রোম’ নামে বিরল রোগে আক্রান্ত রুমেইশা। ‘উইভার সিন্ড্রোম’ এক ধরনের জিনগত রোগ। এই রোগের কারণে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকেন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। এই রোগের কারণে রুমেইশাকে সবসময় হুইলচেয়ারে কাটাতে হয়। ওয়াকার ব্যবহার করে অল্প সময়ের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে পারেন তিনি।
২০১৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা রুমেইশার জন্য এই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা এ ধরনের বিরল রোগে আক্রান্ত তাদের অনুপ্রাণিত করছে তার এই স্বীকৃতি। তিনি বলেন, রাস্তায় বের হওয়ার সময় তার উচ্চতা সাধারণ মানুষকে কৌতূহলী করে তোলে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ যখন প্রথমবার তার সঙ্গে দেখা করেন তখন তারা দয়ালু ও সহায়ক হন।
রুমেইশা তার অবসর সময়ে পরিবারের সঙ্গে বাইরে খেতে বের হন, এমনকি সাঁতার কাটতে যান। গিনেস বুকে মেয়ের নাম দেখে তার পরিবারের সদস্যরাও তাকে নিয়ে গর্ববোধ করেন। রুমেইশা বলেন, সুযোগ পেলে জীবনের সব বাধা মোকাবিলা করা সম্ভব। সেকারণে নিজের অবস্থান মেনে নিতে হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষও তুরস্কের নাগরিক। তার নাম সুলতান কোসেন। সুলতানের উচ্চতা আট ফুট এবং দুই দশমিক আট ইঞ্চি।