গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খাতায় জীবন্ত দীর্ঘজীবী মানুষ হিসেবে ‘কেন তানাকা’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন অনেক আগেই। এরই মধ্যে ১১৯তম জন্মদিন পালন করলেন কেন তানাকা। জাপানের একটি নার্সিং হোমে তার জন্মদিন পালিত হয়েছে। তার আশা আরও একটি বছর জীবিত থেকে ১২০তম জন্মদিন পালন করে নতুন এক রেকর্ড গড়ে যাবেন।
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুকুওকার নার্সিং হোমে বসবাসকারী কানে তানাকাকে গিনেজ বুক স্বীকৃতি দেয় ২০১৯ সালে। এরপর থেকেই তিনি বিশ্বজুড়ে আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠেন।
১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি তানাকা জন্মগ্রহণ করেন। ৮ ভাই বোনের মধ্যে তানাকা সপ্তম। ১৯২২ সালে হিডিও তানাকাকে বিবাহ করেন এবং তাদের ঘরে ৪ সন্তান জন্ম নেয় এবং একজনকে তারা দত্তক নেয়।
জাপানের দীর্ঘায়ু প্রদর্শন এবং প্রাচীনতম তালিকা আয়ত্তে রাখার প্রবণতা রয়েছে। খাদ্যশস্যের অভ্যাস পরিবর্তনের অর্থ হচ্ছে স্থূলতা বাড়ছে, এটি এখনও এমন একটি জাতি যারা অপেক্ষাকৃত বিরল, যার রান্নার ঐতিহ্যে মাছ, চাল, শাকসবজি এবং অন্যান্য খাদ্যের কম ফ্যাট থাকে। জাপানে বয়স ঐতিহ্যগতভাবে সম্মানিত, তাই লোকেরা ৮০ কিংবা তারও বেশি বয়সেও সক্রিয় থাকে।
সাধারণত সকাল ৬টায় ই তানাকা জেগে ওঠে, এরপর অংক কষতে বসে যায়। তিনি এখনও অলস বসে থাকেন না। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী টুকিটাকি কাজ করতে থাকেন। রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে এরপর আবার ঘুমাতে যান নতুন সকালের অপেক্ষায়।
গত ২ জানুয়ারি তানাকার নাতির মেয়ে জুনকো তানাকা টুইটার পোস্টে তার প্রমাতামহীর ১১৯ বছরে পা রাখার সংবাদ জানান। জুনকো তানাকা টুইটারে লেখেন, ‘বিশাল প্রাপ্তি। কেন তানাকা ১১৯ বছরে পৌঁছেছেন। আশা করি, তিনি আনন্দের সঙ্গে জীবন কাটাবেন।’
জুনকো তানাকার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোকা-কোলা কোম্পানি কেন তানাকার জন্য উপহার হিসেবে ‘জন্মদিনের বোতল’ পাঠিয়েছে। বোতলের গায়ে তানাকার নাম ও বয়স উল্লেখ করা আছে।