গেলো সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়েছে। স্বর্ণের পাশাপাশি কমেছে রূপার দাম। সেই সঙ্গে কমেছে আর এক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম। স্বর্ণের দাম গেল এক সপ্তাহে কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। রূপার দাম কমেছে প্রায় সাড়ে সাত শতাংশ এবং প্লাটিনামের দাম কমেছে দুই শতাংশের ওপরে।
গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে ৫ দশমিক ১৫ ডলার বা দশমিক ২৯ শতাংশ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৪০ দশমিক ৮৪ ডলার। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৯১ দশমিক ৩৬ ডলার।
স্বর্ণের পাশাপাশি এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে রূপার দামও কমেছে। এক সপ্তাহে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স রূপার দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৪৪ ডলারে। এতে মাসের ব্যবধানে রূপার দাম কমেছে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আর এক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭ দশমিক ৫২ ডলার। এই দাম কমার পরও মাসের ব্যবধানে প্লাটিনামের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
গেল এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ, রূপা ও প্লাটিনামের দাম কমলেও চলতি মাসের প্রথমার্ধে দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে ১ হাজার ৮০০ ডলারের ওপরে ওঠে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম। এমনকি গেল সপ্তাহের শুরুর দিকেও স্বর্ণের দাম বাড়তে দেখা যায়। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৫১ ডলার পর্যন্ত উঠে যায়। তবে এরপর থেকেই কমতে থাকে দাম।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। যার প্রেক্ষিত্রে গত ১৫ ডিসেম্বর দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমিয়ে দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয়েছে ৭৩ হাজার ১৩ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬১ হাজার ২৩৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৯১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও রূপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রাখা হয়। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার মূল্য এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রূপা দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।