করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এর সংক্রমণ ৩০ কোটি ছাড়িয়ে গেল।
করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুসারে, শনিবার পর্যন্ত এই ভাইরাস সংক্রমণ ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন এই ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটি ঘটনাক্রম প্রকাশ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালে ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে উহান মিউনিসিপ্যাল হেলথ জানায়, সেখানে অজানা নিউমোনিয়ার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর পরদিন তারা সেখানকার সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজার বন্ধ করে দেয়।
এরপর ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই নিউমোনিয়ার খবর প্রকাশ করে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সেখানে গুচ্ছাকারে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ৭ জানুয়ারি চীনের কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে যে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা নতুন একটি ভাইরাসের কারণে। এরপর ১২ জানুয়ারি ভাইরাসের জিন বিন্যাস প্রকাশ করে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ। আর পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১১ মার্চ একে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এরপর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন সময় সংক্রমণ বেড়েছে আবার কমেছে। সম্প্রতি করোনার নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর সেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৭ লাখের বেশি। এদিন মারা গেছে ৬ হাজার ৩৮০ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৪ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি।
অমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ানো শুরুর পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানী বলছেন, ধরনটি অন্য ধরনগুলোর তুলনায় কম প্রাণঘাতী। কিন্তু এর সংক্রমণ অন্য যেকোনো ধরনের চেয়ে দ্রুত ছড়ায়। সেই প্রমাণ ইতিমধ্যে অবশ্য পাওয়া গেছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল প্রায় সাড়ে আট লাখ। ভারতে সংক্রমণ ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার। যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ও ফ্রান্সে সংক্রমণ ৩ লাখ ২৮ হাজার। ইউরোপজুড়ে করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই।
পিএসএন/এমঅাই