প্রথম তিন ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স। তিনটিতে জিতে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার পথ সহজ করে নেয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে লড়াকু পারফরম্যান্স করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট কাটতে হলে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের নিজেদের শেষ ম্যাচে হারাতে হতো পাকিস্তানকে অথবা থাইল্যান্ডের সঙ্গে উইন্ডিজের কম ব্যবধানে জয়।
পাকিস্তান মেয়েদের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর রেশমি সুতোর মতো ঝুলে যায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপের ভাগ্য। থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেট ১০.১ ওভারে করতে পারলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে চলে যেত ক্যারিবীয় মেয়েরা। এই টার্গেট তারা ১০.৫ ওভারে অতিক্রম করলেও রান রেটে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল। ভাগ্যের জোরে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট কাটে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা মেয়েরা গতকাল পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে সোমবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক জ্যোতি জানালেন তারা কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, ‘আমরা প্রথমদিকে ভালোই করেছিলাম। যেহেতু শেষ দিকে আমাদের ওই সুযোগটা ছিল যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারব। শুরুতে আমরা ভালো চেষ্টা করেছি, তার পরও প্রথম তিন ম্যাচে ভালো করার ফলে কিন্তু সুযোগ পেয়েছি। তবে দুটি ম্যাচ ভালো করতে পারিনি। থাইল্যান্ডের রান দেখে মনে এতটুকু বিশ্বাস ছিল যে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাদের যে টার্গেট ছিল সেটা বিশাল। তারপরও তারা যেভাবে করেছে, আল্লাহ আসলে কপালে না রাখলে হতো না।’
২০২২ সালে প্রথমবার মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বমঞ্চে তারা। চলতি বছরের নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সঙ্গে টিকিট কাটে বাছাই-পর্বে পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জেতা পাকিস্তানও। স্বাগতিক ভারতসহ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।