বিমান বাংলাদেশ এয়ারলায়েন্সের অ্যাকাউন্ট্স বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা- ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে টিকিট বিক্রির দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তদন্তে জানা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলায়েন্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুরুতর।
বিমানের টিকিট বেচা নিয়ে দুর্নীতির তদন্তে সংস্থাটির সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এয়ারলায়েন্সের অ্যাকাউন্ট্স বিভাগের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তাও ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে টিকিট বিক্রির দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছিল।
এছাড়া বিমানের আর্থিক লেনদেনের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, সেই কর্মকর্তা দুর্বল একটি বেসরকারি ব্যাংকে বিমানের পেনশন তহবিল জমা রেখেছিলেন। ব্যাংকটি শেষ পর্যন্ত আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা হারালে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমান এয়ারলায়েন্স।
এই কর্মকর্তাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিমানের আরও ৪০ কর্মকর্তা- যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি প্রদান বা চাকরিচ্যুত করা হয়।
কিন্তু বিমানের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই স্রেফ ভর্ৎসনা জানিয়ে সকল কর্মকর্তাকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করেন।
বিমানের পারফরম্যান্সে এর ফলটাও তাৎক্ষণিকভাবেই দেখা যায়। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে অফলাইনে টিকিট বেচার পুরোনো নিয়ম ফিরিয়ে আনে।
পি এস/এন আই