হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে অবতরণের পর ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের চাকা রাখার স্থানে মরদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানায় বিমান সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওয়াইয়ে আসে বিমানটি। এরপর এটির সামনের চাকা (ল্যান্ডিং গিয়ার) রাখার জায়গায় মরদেহটি দেখতে পান কর্মীরা।
কীভাবে সেখানে মৃত ব্যক্তি অবস্থান নিয়েছিলেন সেটি এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। বিমানের যে স্থানটিতে মরদেহ পাওয়া গেছে সেখানকার তাপমাত্রা -৫০ থেকে -৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া সেখানে কোনো ধরনের অক্সিজেন থাকে না। এতে অক্সিজেনের অভাবে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
মূলত বৈধ কাগজপত্র বিহীন ব্যক্তিরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য এমন ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। তবে যারা এমন চেষ্টা চালান তাদের বেশিরভাগকেই করুণ মৃত্যু বরণ করতে হয়। তবে ভাগ্য ভালো থাকলে কেউ কেউ বেঁচেও যান।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে এমনই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি আফ্রিকা থেকে নেদারল্যান্ডসের আমসটারডামগামী বিমানের চাকা রাখায় স্থানে বসে পড়েন। তবে যখন তাকে উদ্ধার করা হয় তখন তার অবস্থা বেশ শোচনীয় ছিল।
সূত্র: রয়টার্স