যশোরে নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন মো. মাসুদ আলম। গত সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে বিদায়ী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের কাছ থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার বুঝে নেন। দায়িত্ব নিয়েই ছদ্মবেশে জেলার বিভিন্ন থানা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যালয় ঘুরেছেন তিনি। জানার চেষ্টা করেছেন স্বাভাবিক নিয়মে সব কিছু চলছে কিনা। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনোভাবও যাচাই করেছেন।
নবাগত পুলিশ সুপারের এমন ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করছেন অনেকে।
নবাগত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে কয়েকটি ফেসবুক পোস্টও ভাইরাল হয়েছে। এ সব পোস্টের কমেন্টে পুলিশ সুপারের প্রশংসা করছেন সবাই। তবে কিছু ভুল তথ্যও সরবরাহ করা হয়েছে।
যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমি গিয়েছি এটা সত্য। আমি সাংবাদিক ভাইদের অফিস, বাসাবাড়িতেও গিয়েছি। তারা কেমন আছে, কী অবস্থায় আছে খোঁজখবর নিয়েছি গতকাল রাত আড়াইটা তিনটা পর্যন্ত।
পুলিশ সুপার বলেন, ছদ্মবেশে গিয়েছি, দেখেছি। আমি শার্শা থানা, সদর থানা, ট্রাফিক অফিসসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছি। অনেক জায়গায় ভালো পেয়েছি, আবার অনেক জায়গায় একটু খারাপ পেয়েছি। খারাপ জায়গাগুলোর ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, বড় ধরনের কোনো অনিয়ম আমার চোখে পড়েনি, আমি আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে যে সদর থানার ডিউটি অফিসার আমার কাছে জিডি বাবদ ৫০০ টাকা চেয়েছে, এটা সত্য নয়। আমি অনলাইন জিডি লেখানোর জন্য বাহিরের একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়েছিলাম, সেখানে দোকানদার আমার কাছে বেশি অংকের টাকা দাবি করে। তখন আমি বললাম ভাই এটা লেখাতে তো সর্বোচ্চ ২০-৩০ টাকা লাগে। আমি এ সকল ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম অপরাধ ছাড় দেওয়া হবে না।