কার ভাগ্যে কী লেখা আছে—সেটা কেউ আগে থেকে বলতে পারেন না। সেকারণে বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যতের কোনো মিল থাকে না। দক্ষিণি সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্যের কথা ধরা যাক। একের পর এক সুপার হিট সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তিনি এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে সাবান বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তেলেগু সিনেমা ‘আদিভিলো অভিমন্যুডু’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন জগপতি বাবু। এরপর দক্ষিণের একাধিক সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করে সুখ্যাতি অর্জন করেন। অন্তত দুই শ’টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তেলেগু ছাড়াও তামিল, মালয়ালাম, কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতেও তার জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঐশ্বর্যের জীবনের ছন্দপতন শুরু হয় বিবাহবিচ্ছেদের পর। ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে থাকার সময় ১৯৯৪ সালে তানভির আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ছেড়ে বিদায় জানিয়েছিলেন অভিনয় জগত। মন দিয়েছিলেন সংসারে। সুখেই কাটছিল সংসার। কিন্তু সেই সুখ টিকল মাত্র দুই বছর। ১৯৯৬ সালে ভেঙে যায় সংসার। ওই সংসারে একটি মেয়েও আছে তার। সেই মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে।
সবকিছু হারিয়ে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু কেউ তাকে কাজ দেয়নি। হতাশ হয়ে ইউটিউবে চ্যানেল খুলেছিলেন। সেখানেও সুবিধা করতে পারেননি। এখন সাবান বিক্রি করে চলছে তার জীবন।
জানা গেছে, ঐশ্বর্যের মা-ও ছিলেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার নাম ছিল লক্ষ্মী। ফিল্মফেয়ার পেয়েছেন দশবার। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
পি এস/এন আই