পরিশ্রম বা উৎসব শেষে কমবেশি সবারই ত্বকের বেহাল দশা দেখা যায়। এ সময় ত্বকের যত্ন নেওয়ার কথা মনেই থাকে না। চোখের নিচে কালি জমা, ত্বক কালো হয়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। আর এসব সমস্যা সমাধান করতে পারে একটি উপাদান, যা আপনার ঘরেই পাওয়া যাবে।
আর এটি ত্বক সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা নিমিষেই গায়েব করবে।আলু আয়ুর্বেদ ও ঘরোয়া চিকিৎসায় ত্বকের জন্য একটি অনন্য প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাঁচা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও আর কী কী উপকার পাওয়া যায় চলুন জেনে নিই।আলুতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বককে টোনিং ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কোষের জন্য খুবই উপকারী এবং ত্বককে নরম করে।আলুতে উপস্থিত ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে।
এটি তকের রঙ গাঢ় করা মেলানিনের উৎপাদন কমায়।আলুতে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা ফোলাভাব ও লালভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি জ্বালাপোড়া ও চুলকানি থেকেও মুক্তি দেয়।আলুতে রয়েছে ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য, যা চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। এটি চোখের চারপাশের ত্বককে হালকা ও উজ্জ্বল করে।
আলুতে থাকা পানি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
আলুর ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। এটি ট্যানিং কমাতে এবং ত্বকে একটি সমান বর্ণ দিতে সাহায্য করে।আলুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ কমাতে এবং ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
কিভাবে মুখে আলুর রস ব্যবহার করবেনআলু কুচি করে এর রস বের করে তুলোর সাহায্যে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলুর টুকরো সরাসরি মুখে ঘষুন। ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলু কুঁচি করে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।