কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নিহত জেলে ওসমান (৫০) টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের কোনা পাড়ার বাছা মিয়ার ছেলে। তিনি পুরনো রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাঁর এলাকার লোকজন ৬টি ট্রলার নিয়ে সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়, এসময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি চালায়। এতে একজন মারা যান। এছাড়া আরও দুই জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি।
গতকাল বুধবার বিকেলে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৩০ কিলোমিটার ভিতরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় ৬টি বোটে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানানা, বুধবার সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে তার ট্রলারের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন এবং এদের মধ্যে একজন মারা যান। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরা ৬ ট্রলারসহ সবাইকে আটক করে। তবে বৃহস্পতিবার একটি ট্রলার, নিহত ও আহতসহ ১১ জনকে ছেড়ে দেয়। মিয়ানমার নৌবাহিনীর কাছে ৫ ট্রলারসহ অন্যান্য বাংলাদেশি জেলেরা এখনও আটক আছেন।
এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফস্থ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের সীমান্তে নৌবাহিনীর গুলিতে একজন নিহত এবং আরও দুইজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত খেঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিনের কাছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত ও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আটক জেলেদের মধ্যে ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে শাহপরীর দ্বীপে এসে পৌঁছেছেন। তবে ৫টি ট্রলারসহ অন্য জেলেরা এখনও আটক আছেন।