বর্ষাকালে একাধিক রোগ-সংক্রমণের প্রকোপ দেখা দেয়। এ সময় জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তাই এই সময় আমাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের ওপরও নজর রাখা বিশেষভাবে জরুরি।
এ সময় বেশ কিছু খাবার যেমন এড়িয়ে চলতে হবে, তেমনি কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় যোগও করতে হবে। এসব বাড়তি খাবারের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিংক এই প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলোর মধ্যে একটি।যা আমাদের সুস্থ করতে এবং শরীরের বিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিংক হলো একটি অপরিহার্য পুষ্টি, যা ত্বকের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কোষের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি ব্রণ ও অন্যান্য অবস্থার প্রদাহ প্রতিরোধ করতে পারে।বর্ষাকালে জিংক কেন গুরুত্বপূর্ণ?চিকিৎসকরা বলছেন, জিংক আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এটির কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। বর্ষা মৌসুমে জিংক বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ এই সময় ঠাণ্ডা, ফ্লু ও অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে জিংক সংক্রমণ এড়াতে এবং শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা বাড়িয়ে শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।এ ছাড়া এটি স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে, যা বর্ষাকালে গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষ করে যখন আর্দ্রতা ত্বকের সংক্রমণ ও ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। জিংকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এটি শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। যা কোষের ক্ষতি করতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে জিংকের ঘাটতির কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। সেগুলো হলো-
ওজন হ্রাস
গন্ধ ও স্বাদে সমস্যা
ডায়রিয়া
ক্ষুধা হ্রাস
ক্ষত নিরাময়ে দীর্ঘ সময়
জিংকের ঘাটতি দূর করতে খাদ্যতালিকায় যে খাবারগুলো যোগ করতে পারেন-
ডিম
রেড মিট
ডার্ক চকোলেট
মটরশুটি
বাদাম ও বীজ
গোটা শস্য