ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, বনানীর এমিকনের গোডাউনের ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকলে ও কর্তৃপক্ষের গাফলতি থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। পরে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২১) দুপুরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। ভবনটির দুই ও তিন তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। এখানে এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম ও কারখানা ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুনের নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হলেও ভবনের ভেতরে প্রচুর তাপ রয়েছে। সেই তাপটা আমরা বের করার চেষ্টা করছি। এখানে কোনো ধরনের হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা এখন ভেতরে সার্চ করছি। ভবনের দুই ও তিন তলায় আগুন ছড়িয়েছিল।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, আগুন মূলত একটি গোডাউনে লেগেছিল। গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল থাকায় আগুন অনেকক্ষণ জ্বলেছিল। আগুন অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সব সময় নেওয়া হয়। আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনায়ও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল নয়টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫ টি ইউনিট ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা করে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।