বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুর রহমান’র আন্তরিকতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল খুলনা শহররক্ষা বেড়ীবাঁধ।
উপজেলার জলমা ইউনিয়নের কচুবুনিয়া ও তেঁতুলতলার মাঝামাঝি স্থানে খুলনা শহররক্ষা বেড়ীবাঁধ হঠাৎ করে বসে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ফাটল দেখা দিলে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয় । খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুর রহমান’র অনুরোধে গতকাল শুক্রবার সকালে শহররক্ষা বেড়ীবাঁধের ভাঙ্গন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে নেয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভাঙ্গন কবলিত এরিয়া মেপে নিয়ে জিও বস্তায় বালু ভর্তি করে বিকেলে নদী ভাঙ্গনে তা ফেলা শুরু করেছে । আগামী শনিবার সকাল থেকে পাইলিং করে বালুর বস্তা ফেলা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ।
উল্লেখ্য খুলনা শহররক্ষা বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় কাজীবাছা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে শহররক্ষা বেড়ীবাঁধ হুমকীর সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী । শহররক্ষা বেড়ীবাঁধের উক্ত স্থানে ভেঙ্গে গেলে জলমা ইউনিয়নের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা শহরের সড়ক সমূহ সহ বড় বড় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা এবং আমন ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুর রহমানের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় এ যাত্রায় রক্ষা পেল খুলনার শহররক্ষা বেড়ীবাঁধ।