‘বুড়ো দাদীদের মতো শোনায়’, এমনই এক এআই টুল বানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ‘ও২’।
এর কাজ হল, লোকজনকে বিভিন্ন জাল ফোন কল করা স্ক্যামারদের থেকে দূরে রাখা।
টেলিকম জায়ান্ট কোম্পানিটি বলেছে, তারা এই তথাকথিত ‘স্ক্যামবেইটার’ টুল তৈরির আগে একটি গবেষণা খতিয়ে দেখেছিলেন। এ গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের সাতজনই স্ক্যামারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলেও তারা এর পেছনে সময় নষ্ট করতে রাজী নন।
কোম্পানিটি বলেছে, ‘ডেইজি’ নামে পরিচিত এআই টুল বানাতে তারা এমন শীর্ষ স্ক্যামবেইটারদের সঙ্গে কাজ করেছে, যারা বিভিন্ন স্ক্যামার নেটওয়ার্কে ব্যাঘাত ঘটায়।
আর এতে ব্যবহারকারীর ফোন নম্বরের সঙ্গে এআই টুলের সংযোগ ঘটানোর পাশাপাশি সম্ভাব্য শিকার গ্রাহক খুঁজে পেতে স্ক্যামাররা যে তালিকার সহায়তা নেয়, সেটিও যোগ করা হয়েছে। আর এতে বুড়ো দাদীর কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়েছে যাতে স্ক্যামারদের বিভ্রান্ত করা যায়।
কোম্পানিটি বলেছে, টুলটি অসংখ্য স্ক্যামারকে ফোন কলে আটকে রাখতে সফল হয়েছে, যেখানে কিছু কিছু ফোন কলের দৈর্ঘ্য ছিল ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পাশাপাশি, স্ক্যামারদের প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর গল্প ও ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের বিরক্তও করেছে টুলটি। এর মধ্যে ছিল নিজের ব্যক্তিগত জীবন এমনকি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নিয়েও মনগড়া তথ্য দেওয়া।
ও২ বলেছে, জালিয়াতদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো যে, তারা সত্যিকারের মানুষের সঙ্গেই স্ক্যাম করছে, এ কৌশল অবলম্বন করে ডেইজি অনেক ভুক্তভোগীকেই স্ক্যামারদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। তবে, কোম্পানি কী ধরনের সাধারণ কৌশল ব্যবহার করছে, তা এখন সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেছে বলে উঠে এসেছে স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।
ও২’র ‘ডাইরেক্টর অফ ফ্রড’ মারে ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, “স্ক্যামার ঠেকাতে আমরা নিজেদের ভূমিকা পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর মধ্যে রয়েছে ফায়ারওয়াল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ থেকে শুরু করে জাল বার্তা ও এআই চালিত স্ক্যাম কল শনাক্ত করার বিষয়টিও যাতে আমাদের গ্রাহকরা নিরাপদ থাকেন।”
“জালিয়াতি ঠেকাতে আমাদের যে দলটি কাজ করছে, তার নতুন সংযোজন ডেইজি এরইমধ্যে স্ক্যামারদের নাকানি চুবানি খাইয়েছে। এমনকি দক্ষতা ও কাজেও এটি তাদের চেয়ে এগিয়ে। আর এতে তারা নিজের খেলায় নিজেরাই পরাস্ত হচ্ছে।”