আকর্ষণীয় করে ঘর সাজাতে বাহারি জিনিস কেনার কোনো প্রয়োজন নেই। আজ আপনাদের জানাচ্ছি কিছু এক্সক্লুসিভ ঘর সাজানোর আইডিয়া।
বিভিন্ন বাতিল বা ফেলে দেওয়া সামগ্রী পুনর্ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলতে পারবেন অসাধারণ কিছু শৈল্পিক পণ্য, যা দিয়ে সহজেই সাজিয়ে ফেলা যাবে ঘরের বিভিন্ন প্রান্ত।
পুরোনো কাপড় বা পর্দা ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সোফা কিংবা চেয়ারের কভার। একাধিক টুকরো কাপড় একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে কালারফুল চায়ের টেবিলের কভারও এভাবে তৈরি করতে পারেন। এতে পুরোনো সোফা কিংবা চেয়ার অনেকটাই নতুনের মতো দেখাবে।
ঘর সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন খবরের কাগজকেও। যারা বাড়িতে নিয়মিত খবরের কাগজ রাখেন, তাদের বাড়িতে খবরের কাগজ জমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। জমে থাকা যেকোনো ধরনের কাগজে রং মাখিয়ে তা দিয়েই তৈরি করে ফেলতে পারেন হরেক রকমের অরিগ্যামি অথবা শোপিস। ঘরের নানা কোণে তা সাজানোর পর এ থেকে কেউ আর চোখ ফেরাতে পারবে না।
অনেকের বাড়িতেই এমন অনেক জিনিস থাকে, যা কয়েক প্রজন্ম ধরেই বাড়িতে পড়ে আছে। অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইস আছে যা নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে এগুলো কেউ আর ব্যবহার করে না। যেমন, বাড়িতে পড়ে থাকা ল্যান্ডফোন, হারিকেন, টাইপরাইটার, খাঁচা, পুরোনো গ্লোব কিংবা গ্রামোফোন। এগুলো একবার পরিচ্ছন্ন করে রং করিয়ে নিতে পারেন। বসার ঘরে এ ধরনের সামগ্রী শোপিস হিসেবে সাজিয়ে রাখলে ঘর অনায়াসেই আভিজাত্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
পুরোনো কাচের বোতল কিংবা শিশি যদি অক্ষত থাকে, তবে ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে তা দারুণভাবে কাজে লাগাতে পারেন। একই মাপের একাধিক পুরোনো কাচের বোতল রকমারি রঙে রাঙিয়ে কিংবা ভেতরে রঙিন পানি ভরে সাজিয়ে ফেলতে পারেন টেবিল কিংবা বইয়ের তাক।
অথবা ছোট ছোট টুনিলাইট বোতলে প্যাঁচিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ল্যাম্প শেড। এ ছাড়া রঙিন লাইট কাচের বোতলে রেখে তার ওপরে রঙিন কাগজের সুন্দর আকৃতি দিয়ে ঘরে সুন্দর আলো-ছায়ার খেলা তৈরি করতে পারেন।
চিনামাটির পাত্র ব্যবহার করেন না এমন বাঙালি কমই আছেন। বাতিল হয়ে যাওয়া চিনামাটির পাত্র ফেলে না দিয়ে তাতে বসিয়ে দিন বাড়ির ছাদের সুন্দর আকৃতির ছোট গাছ। সঠিক গাছ ঘরে থাকলে তা যেমন চোখে আরাম দেয়, তেমনি নিয়ে আসে সজীবতার পরশ।
এ ছাড়া আপনার ঘরে যদি বড় সাইজের কোনো পাত্র থাকে, তাতে রঙিন পানি ঢেলে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে মাঝে বসিয়ে দিতে পারেন রঙিন ফুলের মোমবাতিগুলো। ঘরের কর্নার এই পদ্ধতিতে সাজালে অনেকেরই তা নজর কাড়বে।