এ উপমহাদেশে ফুচকা ভালো লাগে না এমন মানুষ পাওয়া ভার। বিশেষ করে মেয়েদের কাছে পছন্দের খাবারের নাম জিজ্ঞেস করলে সম্ভবত ফুচকার নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাবে। একে পানিপুরি, ফুচকা, বাতাসে, গুপচুপ- যে নামেই ডাকা হোক না কেন, দেখলে জিভের পানি আটকানো কঠিন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরির কথা বলে হয়তো অনেকেই ফুচকা এড়িয়ে যেতে চান। তবে বেশিরভাগ ফুচকাপ্রেমীর কাছেই বিষয়টি খুব একটা গ্রাহ্য পায় না। এ ধরনের ভোজনরসিকদের জন্যই সুখবর।
ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সম্প্রতি এক বিশেষ ধরনের ফুচকার সন্ধান পাওয়া গেছে। নাম ‘বাহুবলী ফুচকা’। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, কিং সাইজের এই ফুচকা কতটা ‘স্পেশাল’। একে শুধু ফুচকা না বলে ‘ফুচকার টাওয়ার’ বলা যেতে পারে।
এত বড় ফুচকা বাংলাদেশে কেউ কোথাও দেখেছেন বা খেয়েছেন কিনা সন্দেহ! দক্ষিণী সিনেমা বাহুবলীর নায়কের মতো দীর্ঘকায় এই ফুচকা দেখতে যেমন, তৈরির উপাদানেও রয়েছে বিশেষত্ব।
বাহুবলীয় ফুচকায় থাকছে জিরা পানি, রসুন পানি, কমলালেবু বা আমের স্বাদযুক্ত পানি এবং অবশ্যই তেঁতুল পানি। প্রথমে ফুচকার ওপর টাওয়ারের মতো করে আলুর পুর দেওয়া হয়। তার ওপর ছিটিয়ে দেওয়া হয় সেদ্ধ মটর বা বেবিকর্ন। এরপর চাটনি ও দই দিয়ে পরিবেশন করা হয় সেটি।
এক ফুচকায় এত কিছু… ভাবা যায়! একটা খেলেই যথেষ্ট! বড়জোর দুই-তিনটা খেলে পেট ভরে যাবে ভালোভাবেই।
জিভে পানি এনে দেওয়া এই বিশাল ফুচকা বিক্রি হচ্ছে নাগপুরের একটি স্টলে। এ নিয়ে এক ইউটিউবারের বানানো ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা দেখে ফুচকাপ্রেমীদের একটাই কথা, কবে খাওয়া যায় এই বাহুবলী ফুচকা!