মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে হ্রদের পানিতে ভেসে আসা প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তুপে প্রধান একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ রুদ্ধ হয়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকটি বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
জলবিদ্যুৎ বাঁধ রুজিজি রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী কিভু হ্রদের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। এই বাঁধ থেকে বুকাভু নগরীসহ আরও কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এসব জায়গায় নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মূলত প্লাস্টিকের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের পাশাপাশি আবর্জনা সংগ্রহের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সময় ভারি বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের বর্জ্য হ্রদে এসে পড়ে। তখন সেই বর্জ্য ভেসে বাঁধের মুখে গিয়ে জমে মেশিনের কলকব্জা বন্ধ করে দেয়।
জাতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি এসএনইএল-এর প্রাদেশিক পরিচালক জোভি মুলেমানগাবো রয়টার্সকে বলেন, “এই বর্জ্য পানির গতিপথ আটকে দেয়। মেশিনগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় চাপ ও গতি সরবরাহ করতে পানির যে স্রোত প্রয়োজন সেটি এভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়।”
প্রতিদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্লাস্টিকের বোতল, ক্যান এবং অন্যান্য আবর্জনা সরানোর চেষ্টা করে। এর ফলে বাঁধের মেশিন কয়েক ঘন্টা বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলার পরও প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়ে থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে।প্রাদেশিক পরিবেশ ও সবুজ অর্থনীতি মন্ত্রী দিদিয়ের কাবি এ সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করছেন। তিনি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বর্জ্য সংগ্রহ সংস্থায় গৃহস্থালী পর্যায় থেকে কাজ করলে হ্রদে প্লাস্টিক জমা বন্ধ হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “এর ফলে গৃহস্থালি পর্যায়ে প্রত্যেকের নিজস্ব বর্জ্য সংগ্রহ করা কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়ে আমাদের একটা ধারণা হবে।”হ্রদের উপরিভাগের বজ্র্য পরিস্কার করাই যথেষ্ট নয়। কারণ, এই বর্জ্য ১৪ মিটার গভীরেও জমা হয়। টারবাইন বাধা এড়াতে নদীর তলদেশ পরিষ্কার করার জন্য ডুবুরি প্রয়োজন হয়।