ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমসিকিউ অংশের ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্রে ত্রুটি থাকার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম।
তিনি বলেন, আমরা শুধুমাত্র তাদেরই পরীক্ষা নেব যারা ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তারিখ দেব। আমরা এর মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। হাইকোর্টের রায় হাতে পেলে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করব।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রশ্নপত্রের বহুনির্বাচনী অংশে ১২ টি প্রশ্নে সেটে গড়মিল দেখা যায়। এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী সমাধান বের করতে পারেনি প্রশাসন। এর মধ্যে গত ২০ এপ্রিল পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করলে হাইকোর্টে রিট করেন ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ। পরে হাইকোর্ট ফল প্রকাশে দুই মাস স্টে অর্ডার দেন।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের নিয়মানুযায়ী যারা বহুনির্বাচনী অংশে উত্তীর্ণ হন, তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে আসন সংখ্যার চারগুণ লিখিত খাতা কাটা হয়। এমসিকিউ অংশের নতুন ফলাফলে যারা প্রথম দিকে থাকবেন অর্থাৎ আসন সংখ্যার চারগুণের ভেতর থাকবেন, তাদের আগের প্রশ্নের লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। সেই ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান অনুষদের ডিন মাহমুদ ওসমান।
এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে মানবিক এবং বিজ্ঞান শাখার যারা পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের আর পরীক্ষা হবে না।
এর আগে রোববার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত দেন।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসা শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রশ্নে কিছু গোলমাল হয়েছে। একজন ছাত্র হাইকোর্টে এসে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী ছাড়া রিট করেন। এ রিটের শুনানির সময় বুয়েটের এক্সপার্ট ও ঢাবিকে শোনেন আদালত। পরে দেখা যায় কিছু পরিমাণ ভুল থেকেই যায়।
তিনি বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে এসে বলেছে, তারা এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা পুনরায় নিতে চান। সে বিষয়ে শুনানি হয়েছে। ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন। নতুন পরীক্ষার দাবি যদি পূরণ হয়ে যায়, তাহলে এ মামলা চলার আর কোনো প্রয়োজন নাই। ছাত্ররা আদালতে কথা বলে তাদের রিট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আদালত (ঢাবি) আদেশ দিয়েছেন, নতুন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। আশা করি, এক মাসের মধ্যে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।