প্রথম বর্ষের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ কয়েকটি দাবিতে সোমবার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির ফলে অনিবার্য কারণবশত দেখিয়ে সেটি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলমান ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির কার্যক্রম অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরুর তারিখ জানানো হবে।
সর্বাত্মক কর্মবিরতির অন্তর্ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মসূচিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ/ইনস্টিটিউটের ক্লাসসমূহ বন্ধ থাকবে। অনলাইন, সান্ধ্যকালীন, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাসসমূহ বন্ধ থাকবে। সব ধরনের লিখিত, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে।
একাডেমিক কমিটি, পরিকল্পনা কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় ও অন্যান্য সভা অনুষ্ঠিত হবে না। ভর্তি পরীক্ষাসহ ডিন অফিসের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কোনো সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না। কোনো সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে না।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না। শিক্ষকরা প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত (ছুটির দিন ব্যতীত) সিনেট ভবনের মূল ফটকে অবস্থান করে এই আন্দোলনকে বেগবান করবেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এসব কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সরব হন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিছু কর্মসূচি পালনের পর ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এরপরও দাবির বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। এছাড়া ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। তবে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষাসমূহের আওতামুক্ত ছিল। সরকারের নীতিনির্ধারণী পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন।