জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে জন্মনিরোধক বড়ি বা পিল। যদিও এক্ষেত্রে এক বা একাধিক কর্মপ্রক্রিয়া রয়েছে।
এর মধ্যে ওষুধ প্রয়োগ স্বেচ্ছায় গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকাও একটি প্রক্রিয়া। তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণে পিল খাওয়ার দায়িত্ব সবসময় নারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলেও বেশ কয়েক বছর ধরেই পুরুষদের জন্যও এই ওষুধ তৈরির চেষ্টা চলছিল। একই সঙ্গে চেষ্টা চলছিল পুরুষদের জন্য এ ধরনের পিল বাজারে আনার।
সম্প্রতি পুরুষদের জন্য নতুন জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। ওষুধ দুটির নাম- ডিএমএইউ এবং ১১বিটা-এমএনটিডিসি। ওষুধগুলো প্রোজেস্টোজেনিক অ্যান্ড্রোজেন নামক ওষুধের সমগোত্রীয়।
পরীক্ষামূলকভাবে পিল দুটি ব্যবহারের পর গবেষকরা বলছেন, এই ওষুধের তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের এই জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ দুটি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
নতুন পিল দুটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস করে শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। নারীদের তুলনায় পুরুষের বিকল্প গর্ভনিরোধকের সংখ্যা খুবই কম। এই দুটি ওষুধ আবিষ্কারের ফলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রুখতে ছেলেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি পুরুষ পুনরায় এই ওষুধ ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন।
গবেষকদের মতে, এই পিল দুটি ব্যবহার করা হলে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের সমস্যা আরও কমবে।
পিএসএন/এমআই