যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতারা। পুতিন আলোচনায় বসতে রাজি, যদি তা হয় প্রতিবেশী দেশটিতে শস্য সরবরাহ নিয়ে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার লাইভ আপডেট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা শস্য জাহাজের ব্যাপারে মস্কো উপায় খুঁজতে প্রস্তুত। এ ব্যাপারে আলোচনা হবে। তবে আগে পশ্চিমাদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
খবরে আরও বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ফোনে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় ৮০ মিনিট কথা বলেন। তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহারের ওপর জোর দিয়েছেন। পুতিনও ইউক্রেনে পশ্চিমাদের ভারী অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে দুই নেতাকে সতর্ক করেছেন।
আজভস্থলে আটক আড়াই হাজার যোদ্ধাকে মুক্তি দিতেও পুতিনকে আহ্বান জানান ম্যাক্রো ও শোলজ। এ ব্যাপারে পুতিনের ভাষ্য কি, তা জানা যায়নি।
পুতিনের সঙ্গে আলোচনার আগে তার বিরুদ্ধে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে ক্যাথলিকদের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে মন্তব্য করেন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। তিনি বলেন, ইউক্রেনে অমানবিক যুদ্ধের কারণে পুতিনের ছাড় পাওয়া উচিত নয়। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি খাদ্য সংকটকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করতে চাইছেন। শুক্রবারের এ বৈঠকে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহযোগিতা দিয়ে যেতে জার্মানি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন শোলজ।
আল জাজিরা আরও জানায়, মারিওপোল ও আজভস্থল দখলের পর এবার রুশ সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের আরও একটি শহর দখল করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। কৌশলগত শহর হিসেবে পরিচিত দনবাস অঞ্চলের লিমান শহর নিয়ন্ত্রণে রেখে বলে দাবি করছে রুশ সেনারা। এই পরিস্থিতেই রুশ প্রেসিডেন্টকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান ফ্রান্স ও জার্মানির নেতা।
সূত্র: আল জাজিরা
পি এস/এন আই