করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেও জরুরি নিয়োগ কার্যক্রম অক্ষুণ্ণ রাখতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) কোনো পদের প্রিলিমিনারি টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বুধবার (২৮ জুলাই) পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (যুগ্ম-সচিব) নূর আহমদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেয়া হয়।
“পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আমরা প্রার্থীদের এটি পরামর্শ দিয়েছি, তবে তা বাধ্যতামূলক বলা হয়নি। বর্তমানে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখালে উপজেলায় গিয়ে টিকা নেয়া যাবে। সেহেতু সবাইকে টিকা নিতে উৎসাহ দিতে আমরা এ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছি। “
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি নিয়োগ কার্যক্রম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিজ্ঞাপিত কোনো পদের প্রিলিমিনারি টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে পরীক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকাগ্রহণ নিশ্চিত করার পরামর্শ প্রদান করা হলো।
পরীক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে টিকাগ্রহণ নিশ্চিত করে এ সংক্রান্ত প্রমাণপত্র বা সনদপত্র সংগ্রহে রাখার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। পরীক্ষার্থী, পরীক্ষক ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্যসুরক্ষার লক্ষ্যে টিকাগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে পিএসসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বুধবার বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, ‘পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আমরা প্রার্থীদের এটি পরামর্শ দিয়েছি, তবে তা বাধ্যতামূলক বলা হয়নি।’
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখালে উপজেলায় গিয়ে টিকা নেয়া যাবে। সেহেতু সবাইকে টিকা নিতে উৎসাহ দিতে আমরা এ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভবিষ্যতে অনেক কাজে টিকার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে। সেসব চিন্তা করে আমরা এ ধরনের পরামর্শমূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। সবার মনোবল বাড়াতে আমরা টিকা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। তবে এটি চলমান কোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলেও জানান তিনি।