পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও জনজীবন চরম সংকটে পড়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিবেদন করলে তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিতে গিয়ে বালু সন্ত্রাসীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের কোলচরি গ্রামের বালু সিন্ডিকেটের সদস্য সোবাহান প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মান্নান, হকেন প্রামাণিক ওরফে হকেন মাঝির ছেলে আরিফ,বাবু প্রামাণিকের ছেলে লম্বা ফিরোজ, জলিল বিশ্বাসের ছেলে কালা ফিরোজের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে মারধর করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা, বুম ও মোবাইল ভাঙচুর করেন।
আহত সাংবাদিক মনিরুজ্জামান সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী মাস্টারসহ একাধিক সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান বালু উত্তোলনের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ শেষে করে ফেরার পথে এই হামলার শিকার হন।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন’ সংগঠনটির সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান পাবনার সাংবাদিক সমাজ। এ বিষয়ে থানায় মামলায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও জনজীবন হুমকির মুখে পড়ছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে সুজানগরের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের অফিস রুম তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় বালু সন্ত্রাসীরা। ওইদিন জামায়াতের নেতা কর্মীরা তাদের হাতে মার খান।
পদ্মা পাড়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের কোলচরি,শুকচর, গোহাইল বাড়ি, দীঘি গোহাইল বাড়িসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে রাত দিন সমানে বালু উত্তোলন চলছে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পদ্মা নদী থেকে সকল প্রকার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।