কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে এবার ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে বাক্সগুলো খোলা হয়।
প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। এ কাজে মাদ্রাসার ছাত্র, ব্যাংকের স্টাফ, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
প্রতিবারের মতো এবারও দানবাক্সে বৈদেশিক মুদ্রা এবং স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি তিন মাস পরপর এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়। প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ ও এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের কাজে ব্যয় করা হয়। একই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায়ও সহায়তা করা হয়। পাশাপাশি গরিব ছাত্রদের দেওয়া হয় আর্থিক সহায়তা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়। করোনাকালে রোগীদের সেবায় অনুদান দেওয়া হয়েছিল পাগলা মসজিদের টাকা।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি সর্বশেষ দান বাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। সেদিন আটটি দানবাক্স থেকে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া যায়।