পাকিস্থান থেকে প্রথমবারের মতো মোংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানী হওয়া চিটাগুড় রেলযোগে পাঠানে হলো সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রয়ারী) সকালে ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৩০টি ওয়াগনে বোঝাই করা হয়। পরে বিকালে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে রেলটি। আমদানীর করা অবশিষ্ট চিটাগুড় সড়ক পথে ও রেলযোগে ট্রেনের ওয়াগনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দরের উপসচিব মো: মাকরুজ্জামান মুন্সি। এর পর এগুলো পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে সরবরাহ করবে আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি পানামা পতাকাবাহী এমভি ডলফিন-১৯ নামক জাহাজে করে ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন চিতাগুড় প্রথমবারের মতো পাকিস্থান থেকে আমদানী করে একটি বেসরকারী আমদানী কারক প্রতিষ্ঠান। এর পর বন্দর জেটিতে থাকা ওই বিদেশী জাহাজ থেকে চিটাগুড় গুলো খালাস করে মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড-এ সংরক্ষণ করা হয়েছিলো। আজ সেখান থেকে রেলযোগে নেওয়া শুরু করে আমদানিকারক।
দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ভারত থেকে পশু খাদ্য চিটাগুড় আমদানী করতো বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু হঠাৎ ভারত আমদানীর উপর ট্যাক্স বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। এর পর বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের পর প্রথমবার পাকিস্তান থেকে আমদানী করা হলো এই পশুখাদ্য। মোংলা বন্দরে প্রথমবার আমদানী হয়েছে পশুখাদ্য।