টেস্ট ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে আছেন আগে থেকেই। চট্টগ্রামে ক্যাম্প করেছেন মুশফিকুর রহিমরা। তিন দিনের ম্যাচ দিয়ে বুধবার সে ক্যাম্প শেষ হয়ে গেছে। ক্রিকেটাররা বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরবেন।
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে ক্রিকেটাররা যতটা একাগ্র কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ততোটা দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বকাপ শেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়া প্রধান কোচ বুধবার পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি। অথচ ১৯ জুলাই ঢাকায় পৌঁছে পর দিন চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল তার। কোচ কেন নেই জানতে চাওয়া হলে, বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, কোচের ভিসা পেতে সময় লেগেছে।
হাথুরুসিংহে দু-একদিনের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন। কারণ ৩ আগস্ট থেকে ঢাকায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মূল ক্যাম্প শুরু। প্রথম দিন ফিটনেস টেস্ট হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে। পরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে স্কিল ক্যাম্প। ১৫ আগস্ট পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার কথা ক্রিকেটারদের।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সফর নিয়ে জালাল ইউনুস বেশ কিছু তথ্য দেন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানের টেস্ট দলে থাকা, পেসার তাসকিন আহমেদের টেস্টে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ছাড়াও স্পিন পরামর্শক কোচ মুশতাক আহমেদকে পাকিস্তান সফরে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘পাকিস্তান সিরিজে মুশতাক আহমেদ থাকছেন। যেহেতু ডিসেম্বর পর্যন্ত তার নিজের কিছু প্রোগ্রাম আছে তাই পরের সিরিজগুলোতে থাকতে পারবেন না। জানুয়ারি থেকে চেষ্টা করব তাকে লম্বা সময়ের জন্য নিয়োগ দেওয়ার।’
পাকিস্তান সফরে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ এটি। জাতীয় দলের আগে ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা যাচ্ছেন পাকিস্তানে, ইসলামাবাদে দুটি চার দিনের ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে।
এই সফরে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ না থাকলেও দলের সঙ্গে একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রাখার হবে বলে জানান জালাল। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়। সে কারণে আমরা খেলতে যাই। আপনারা দেখেছেন অনেক আন্তর্জাতিক দল ওখানে খেলতে গেছে। তারা নিরাপত্তা নিয়ে খুশি। তবে আমরা সরকারকে বলেছি, আমাদের সফরে একজন নিরাপত্তা পরামর্শক দেওয়ার জন্য, যারা পাকিস্তানে নিরাপত্তার বিষয়টি লিঁয়াজো করবে।’