আজ ২৫ মার্চ, ‘গণহত্যা দিবস’। দিনটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার এক বাণীতে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশের মানুষ যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিল, তা স্মরণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সেদিন ছিল ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর রাত, যেটি এখনো জাতির হৃদয়ে গভীর শোকের কারণ হয়ে রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে আরও বলেন, একাত্তরের মার্চে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যখন স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছিল, তখন ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। তারপর মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনারা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ চালিয়ে ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগসহ সারা দেশে তারা আক্রমণ চালায়, যেখানে ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যসহ হাজারো নিরপরাধ মানুষ শহীদ হন।
এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করলেও, সেই শহীদের আত্মত্যাগের পথ ধরেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে যখন একনায়কতন্ত্রের শাসন চলছিল, তখন মানুষের মৌলিক অধিকারও রক্ষিত হয়নি। তবে, ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার সংগ্রামে একনায়কতন্ত্রের পতন ঘটে এবং জাতি মুক্তি পায়। এখন আমরা যে বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তা গড়ে তোলার পথে আছি, যেখানে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
২৫ মার্চের সেই কালরাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এক শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে।